নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে এখন থেকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে সপ্তাহব্যাপি ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, “দেশের গ্রামাঞ্চলের মা ও মেয়ে শিশুদের জন্য অধিক মূল্য হবার কারণে ন্যাপকিন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। এতে করে তাদের শরীরে ক্যানসারসহ নানাবিধ জটিল রোগ সৃষ্টি হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্য বিয়ে, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব, কিশোরী মায়ের গর্ভে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি, মৃত সন্তান প্রসব, অপরিণত জন্ম, কম জন্ম ওজনের শিশু, প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে কিশোরী মায়েরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
‘১৫-১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপুরণীয় চাহিদার হার ১৭%। কাজেই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে সকল সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিবাহিত কিশোরীদের সঠিকভাবে পদ্ধতির ব্যবহার ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন যাতে কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কৈশোরকালীন মাতৃত্বের বর্তমান হার প্রতিলাখে ১১৩ যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ এ (প্রতি লাখে) নামিয়ে আনতে হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এ কারণে দেশের সব জায়গায় এ বছর থেকেই সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে আমাদের মা- বোনদের জন্য বিনামূল্যে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হবে।”
নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যু হার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে ৩.৭.২ সূচকে কৈশোরকালীন মাতৃত্ব কমানোর ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে। কারণ ১৪ বছর বা তার কম বয়সী কিশোরী মায়েদের মধ্যে গর্ভজনিত জটিলতার কারণে মৃত্যু ঝুঁকি পাঁচ গুণ বেশি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ২০ বছরের বেশি বয়সী মায়েদের তুলনায় ১৫-১৮ বছর বয়সী মায়েদের মৃত্যুহার দ্বিগুণের বেশি। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মায়েদের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে অনিহা থাকে। এ কারণে সারাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ডেলিভারি সিস্টেম চালু করে দেয়া হবে।