ডেস্ক প্রতিবেদক:
পুষ্টিবিদদের মতে, বেগুন পুষ্টিতে ভরা একটা সবজি। পুষ্টিগুণে ভরা বেগুন আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
অতি প্রাচীন কাল থেকেই এ দেশে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বেগুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। আসুন বেগুনের একাধিক আয়ুর্বেদিক ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক?
বেগুনের একাধিক আয়ুর্বেদিক গুণ:
অতি প্রাচীন কাল থেকেই এ দেশে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে নানা রোগের প্রতিকারে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। যেমন…
১) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কচি বেগুন পুড়িয়ে তার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারলে লিভারের সমস্যা নিরাময় হয়।
২) অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে বেগুন অত্যন্ত কার্যকরী। বেগুন খেলে ভাল ঘুম হয়। এর জন্য বেগুনের আর নাম হল নিদ্রালু। যাদের অনিদ্রার সমস্যা আছে, তারা সন্ধ্যার পর সামান্য পরিমাণে কচি বেগুন পুড়িয়ে তার সঙ্গে মধু দিয়ে খেতে পারলে রাতে ভাল ঘুম হবে।
৩) নিয়মিত বেগুন খেতে পারলে প্রসাবের সময় জ্বালা বা কোনও রকম অস্বস্তি কমে যায়। বেগুন কিডনির নানা সমস্যা বা মূত্রনালির সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম।
৪) বেগুন একেবারে ভাল করে পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ছাই করে নিয়ে ওই ছাই গায়ে মাখতে পারলে চুলকানি বা চর্মরোগ সেরে যায়।
৫) জ্বর হয়েছে? কচি, বীজহীন বেগুন খান। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৬) আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? কচি বেগুনের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে শ্লেষ্মা –নিত সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
৭) বীর্যের পরিমাণ বৃদ্ধিতে বেগুন অত্যন্ত কার্যকরী।
৮) মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুর সমস্যা দূর করতে বেগুন অত্যন্ত কার্যকরী।
৯) হজমের সমস্যা থাকলে রোজ কচি, বীজহীন বেগুন পাতে রাখুন। দ্রুত উপকার পাবেন।
খাদ্য তালিকায় বেগুন নিয়মিত রাখুন আর সুস্থ থাকুন।