সাদ বিরোধীদের বিক্ষোভ শুক্রবার

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তাবলীগ জমায়াতের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর সারাদেশে স্থানীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দাওয়াতে তাবলীগ ও ওলামা মাশায়েখরা। 

বৃহস্পতিবার (৬ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মুফতি আমানুল হক।

তিনি বলেন, ‘গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানের ঘটনায় প্রশাসন নিরব ও রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। এরই মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তাই আগামী শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের সকল মসজিদের জুমার আলোচনা এ বিষয়টি তুলে ধরা হবে এবং নামাজের পর সকল জেলায় স্থানীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কাজে থাকা অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর তারিখে নিজামুদ্দিনের মওলানা সাদপন্থী, বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম ও নাসিমের অনুসারীরা নিরস্ত্র নিরীহ তাবলীগের সাথী ও মাদ্রাসা ছাত্র ওলামায়ে কেরামের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে নির্মমভাবে হামলা করে পুরো টঙ্গী ময়দানকে রক্তাক্ত সন্ত্রাসের মাধ্যমে রণক্ষেত্র কায়েম করে বাংলাদেশ ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা। তাদের এই নির্মম শিকারে পাঁচ সহস্রাধিক সাথী ও আলেম-ওলামা গুরুতর আহত হয়। এতে তাদের কারও মাথা থেঁতলে যায়, হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে গিয়ে বাড়িতেও হামলা করা হয়।’

মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘এই ঘটনার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ হামলার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রশাসনের এই নীরব ও রহস্যজনক ভূমিকা বাংলার আলেম সমাজ ও তাওহীদি জনতা হতবাক। কোন থানাতে তাদের নামে মামলাও গ্রহণ করা হচ্ছেনা। সাংবাদিক সম্মেলন ও টক শো'র মাধ্যমে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করছে। অথচ তাদের মুখপাত্র মাওলানা আশরাফ আলী টিভি টকশোতে গিয়ে স্বীকার করেছে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালিয়েছে। যদি এরপর কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে এর দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকে বহন করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে তারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। সাদপন্থীদের আক্রমণে আহত সাধারণ সাথীদের ৩৬ সদস্যের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আহত মৌলানাদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।