বাংলাদেশে হয়তো খাদ্য ঘাটতি হতে পারে চলতি বছরে। হাওড় অঞ্চলের ফসলহানীতে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ, কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধানে যে পরিমাণ রোগ আর পোকার আক্রমন হয়েছে তাতে কাঙ্খিত ফলন হবে না। খাদ্য ঘাটতির পরিণতি বুঝতে চাইলে সিডর এবং আইলা পরবর্তী বাংলাদেশটাকে স্মৃতিতে নিলেই যথেষ্ট হবে বলে মনে করি। সামরিক সরকার সারা পৃথিবী খুঁজে চাহিদা অনুযায়ী চাল আমদানি করতে পারে নি।চালের আকাশচুম্বি দাম জনমনে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে, শিল্প কারখানায় শ্রমিক বিদ্রোহ চরমে পৌঁছে। যাঁরা সরকারে আছেন অথবা দেশ নিয়ে, জনগণ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করেন তাদের প্রত্যেকেরই উচিত কৃষি বিভাগকে মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ ব্যস্ত রাখা। খাদ্য ঘাটতির সুযোগ নিয়ে মজুতদারির মাধ্যমে দেশে যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা অতীব জরুরি। ধান মাড়াইয়ের সময়ই যদি সরকারী ক্রয় কার্যক্রম চালু না হয় তবে অনেক বড় বিপত্তি ঘটতে পারে। দালালদের দৌরাত্ব রুখতে না পারলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।