ক্রীড়া প্রতিবেদক:
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। এই টুর্নামেন্টে মোট প্রাইজমানি ১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। টুর্নামেন্টের ১৭ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রাইজমানি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে গত ২ জুন পর্দা উঠেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের।এবারের আসরে অংশ নিয়েছে মোট ২০ দল। আগের কোনো আসরে এত দলের অংশগ্রহণ দেখা যায়নি।
এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল কমপক্ষে ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার পাবে। যা বংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ দল যদি একটি ম্যাচও না জিততে পারে তারপরও এই টাকা পাবে। আর জিততে পারলে প্রত্যেক জয়ের জন্য বাড়তি টাকা পাবে। একই সঙ্গে পরের পর্বগুলোতে যেতে পারলেও বাড়বে অর্থের পরিমাণ।
টুর্নামেন্টের জন্য সর্বমোট প্রাইজমানি ঘোষণা করা হয়েছে ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে সেটা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্সআপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে।
সেমিফাইনাল ও ফাইনালে জয়ের জন্য প্রতি দল পাবে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বরে থাকা দল পাবে ২৪৭,৫০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা করে। ১৩ থেকে ২০ নম্বরে থাকা প্রতিটি দল ২২৫ হাজার ডলার পাবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।