আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মোদির এনডিএ শিবিরের প্রতি সমর্থনের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। বুধবার নয়াদিল্লিতে এনডিএ শিবিরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়াতে সংবাদ সম্মেলন করে নাইডু ঘোষণা দেন, ‘আমরা এনডিএ জোটেই আছি।’
মঙ্গলবার ভারতের ১৮ লোকসভা নির্বাচনের গণনা শেষ হয়। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) পেয়েছে ২৯৩ আসন, এর মধ্যে বিজেপি এককভাবে জয় পেয়েছে ২৪০ আসনে। অন্যদিকে বিরোধীদলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩২ আসন, এর মধ্যে প্রধান শরিক দল কংগ্রেসের ঝুলিতে গেছে ৯৯ আসন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার গঠন ও ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে বৈঠক করবেন এনডিএ নেতারা। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সাবে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এনডিএ বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টায় ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী ছাড়াও ইন্ডিয়া জোটে অত্যন্ত সক্রিয় প্রবীণ নেতা শরদ পওয়ার ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, অখিলেশ যাদব, সীতারাম ইয়েচুরিসহ একাধিক নেতা উপস্থিত থাকবেন। তবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার জায়গায় প্রতিনিধি হিসাবে যাবেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পরও কংগ্রেসের ফোন আসেনি, এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মমতা।
এদিকে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কংগ্রেস। সরকার গঠনে পদক্ষেপ নাকি বিরোধী আসনে বসবে, তা ঠিক হবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন থাকা সত্ত্বেও শরিক-সহযোগীদের গুরুত্ব দিয়েই পথ চলা শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে দিল্লি ও পঞ্জাবে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে আম আদমি পার্টি (আপ) থাকবে কি না, তার দিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।