আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কয়েক মাস ধরে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। শিখ ও স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত সোমবার পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে। এ অবস্থায় কানাডা নিজের দেশের নাগরিকদের ভারতের একাধিক স্থানে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।
সোমবার প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় কানাডার সরকার পাঞ্জাবে পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নিজ দেশের নাগরিকদের যেতে নিষেধ করেছে। তবে ওয়াঘা সীমান্তে যাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
এ ছাড়া গুজরাট ও রাজস্থানে পাক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নাগরিকদের না যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরেও যাতে নাগরিকরা না যান, তার জন্য সতর্ক করেছে কানাডার সরকার। আসাম এবং মণিপুরে অজরুরি ভ্রমণ করতে বারণ করা হয়েছে।
গত সোমবার কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার ঘটনায় ‘ভারতের সম্ভাব্য যোগের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে। নিজ্জারের হত্যার ইস্যুটি ব্রিটেন, আমেরিকার মতো জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত ঘনিষ্ঠ দেশগুলোকে জানিয়েছে কানাডা।
এদিকে সোমবারই ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার এক কূটনীতিককেও দেশ ছাড়তে বলেছে ভারত।
হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার ঘটনা নিয়ে কানাডার সংসদে জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ‘কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যু নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তদন্ত চালাচ্ছে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এ ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টদের যুক্ত থাকার সম্ভাব্য যোগসূত্রের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডায় আইনের শাসন চলে। আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কানাডার মাটিতে যে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। কানাডা সরকারের উচিত সেই সব কার্যকলাপ বন্ধ করা। কানাডায় এমনিতেই হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধ ঘটেই থাকে। এই আবহে কোনো হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা অমূলক। খালিস্তানিদের বাড়বাড়ন্ত থেকে নজর ঘোরাতেই এটা করা হচ্ছে।