ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ পদ থেকে বহিষ্কার

img

বিশেষ প্রতিবেদক:

বিভিন্ন অনৈতিক কার্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রাজধানীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়টির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে। এসব কারণে গত শুক্রবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগরীর সূত্রাপুর থানাধীন শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন পদত্যাগ করায় অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোনয়ন প্রদান করা হলো।

ঢাকা দক্ষিণ আ.লীগের নেতা রিয়াজউদ্দিনকে বহিষ্কার নয়, অব্যাহতি

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের বরাবর স্মারকলিপি দেন। এসব অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিয়াজ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। রিয়াজ গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দোহাই দিয়ে মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে অডিট আটকে রেখে শূন্যের কোটায় এনেছেন বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩ কোটি টাকার ফান্ড। বিপুল এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন রিয়াজ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণির দোহাই দিয়ে নিয়মিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন রিয়াজ। নারী শিক্ষকদের তিনি তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ও লংড্রাইভে যেতে প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবে সাড়া না পেলে তার রোষানলে পড়তে হয় তাদের। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয় দিয়ে তিনি শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ এমনকি চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকদের জন্য সিটিং রুম সংকট থাকলেও রিয়াজ নিজের ক্ষমতার দাপটে বিদ্যালয়ে নিজের জন্য অত্যাধুনিক একটি সভাকক্ষ তৈরি করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন। নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সেখানে বিশেষ প্রয়োজনে সাক্ষাৎ করতে বলেন।