বগুড়ায় প্রভাষক পারভেজ হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

img

মফস্বল  প্রতিবেদক:

বগুড়ার শাজাহানপুরের প্রভাষক ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল তালুকদার পারভেজ হত‌্যা মামলার দুই আসামি‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে র‌্যাব-১২। সোমবার বগুড়া শহর এবং রাজশাহী থে‌কে তা‌দের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার রাত সা‌ড়ে ৮টায় র‌্যাব-১২ বগুড়া কার্যাল‌য়ে এক‌ প্রেস ব্রিফিং‌য়ে এসব কথা জানান কোম্পা‌নি কমান্ডার মীর ম‌নির হো‌সেন।

গ্রেপ্তাররা হ‌লেন- বগুড়া সদ‌রের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মৃত তু‌হিন মিয়ার‌ ছে‌লে তন্ময় ওর‌ফে কিলার সাব্বির (২৮) ও শহ‌রের শিববা‌টি কা‌লিতলা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর‌ ছে‌লে আল আমিন (২৬)। এর মধ্যে কিলার সাব্বিরকে রাজশাহীর সদর উপজেলা থেকে এবং বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুরের আশেকপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সাবরুল বাজার ও পারভেজদের বাড়িতে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছিলেন। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পারভেজ সাংসারিক প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাথাইল চাপড় এলাকায় সাগর তালুকদারের সন্ত্রাসী বাহিনী তার পথরোধ করে হাসুয়া, রামদা দিয়ে হামলা করে। তাদের হামলা থেকে বাঁচতে পাশের সুমনের বাড়িতে আশ্রয় নেন পারভেজ। কিন্তু সেখানেও গিয়ে কুপিয়ে তার হাত বিচ্ছিন্ন করে। পরে পারভেজের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পারভেজকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ রুকসানা আক্তার ও উজ্জ্বল (৪০) নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে একজন সাগরের বোন ও অপরজন চাচা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র‌্যাব কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে রাজশাহীর সদর উপজেলা এলাকা থেকে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাব্বির সেখানে ছদ্মনাম (তৌফিক) নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আর আল আমিনকে বগুড়া কালিতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল আমিন এজাহার নামীয় আসামি না। হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা আল আমিনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারি। আল আমিনকে গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাদরকে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।