চন্দ্রজয়ের পর সূর্য অভিযান শরু হলো ভারতের

img

ডেস্ক প্রতিবেদক:

চন্দ্রজয়ের পর সূর্য অভিযান শরু হলো ভারতের। সূর্যের উদ্দেশে আদিত্য এল-১ নামে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে দেশটি। এটি সূর্যে ভারতের প্রথম অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে ইসরোর এই মহাকাশযান সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

সৌরযানটি চাঁদের মতো সূর্যে অবতরণ করবে না। সৌরযানের ৩টি অংশ খুব কাছ থেকে এবং ৪টি অংশ দূর থেকে সূর্য পর্যবেক্ষণ করে যাবে।

সৌরযানটির নাম প্রথমে ছিল আদিত্য। সংস্কৃত ভাষায় সূর্যের অপর নাম আদিত্য। পরে এই নামের সঙ্গে এল-১ যুক্ত করা হয়েছে। কারণ এটি সূর্যের ল্যাগ্রন পয়েন্টে যাবে।

ল্যাগ্রন পয়েন্ট ‘এল ১’ নামেও পরিচিত। এই ল্যাগ্রন পয়েন্টটি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি মহাকাশের বিশেষ এলাকায় অবস্থিত।

এই পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে জোসেফ-লুই ল্যাগ্রনের নামানুসারে। তিনি ইতালীয়-ফরাসি গণিতবিদ। তিনি দেখিয়েছিলেন মহাশূন্যে এমন পাঁচটি পয়েন্ট রয়েছে যেখানে সূর্য ও

পৃথিবীর বিপরীতমূখী আকর্ষণের ফলে বস্তু ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ভেসে থাকতে পারে। ফলে জ্বালানি খরচ হয় না।

এছাড়াও এই ল্যাগ্রন পয়েন্ট থেকে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা সহজ।সৌরযানটি পৃথিবীর চারপাশে ১৬ দিন প্রদক্ষিণ করবে।

এরমধ্যে প্রয়োজনীয় গতিবেগ সঞ্চয় করে ল্যাগ্রন পয়েন্টে পৌঁছে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে। সূর্যের করোনা অঞ্চলটি নিয়ে পরীক্ষা চালাবে।

সূর্যের জিওম্যাগ্নেটিক কারণে সৌরঝড় হয়ে থাকে। সেই সৌরঝড় নিয়েও গবেষণা চলবে। এছাড়াও সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত যেসব সৌরকণা ছিটকে বের হচ্ছে তা নিয়েও চলবে গবেষণা।

পৃথিবীর ওপর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়েও গবেষণা হবে।

ইসরো বলছে, পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক সৌর বায়ু এবং ঝড়ের আগাম তথ্য পাওয়া যাবে অভিযান সফল হলে। ফলে আগাম সতর্কতাও জারি সম্ভব হবে।

সৌরযানটি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির মাধ্যমে। সূর্যের ছবি তোলার জন্য এটিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

একটি রেফ্রিজারেটরের মতো আকারের এই সৌরযানটির ওজন প্রায় দেড় হাজার কেজি। এটি তৈরিতে বিশেষ ধরনের ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে, যা মহাকাশের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে

টিকে থাকার জন্য বেশ উপযোগী।

ইসরোর এই অভিযান চন্দ্রযান-৩ অভিযানের অর্ধেক খরচ হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ৬১৫ কোটি রুপি ব্যয় করেছে ইসরো।