নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ পাঁচ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্মাণকাজ চলা বাড়ি বা রাস্তা এবং মাটি-বালু বহনকারী গাড়িগুলো ঢেকে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মনজিল মোরসেদ বলেন, শুনানিতে আদালত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দেওয়া প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের ডাকতে এখন লজ্জা লাগে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয়-সাতবার দূষণরোধে বিভিন্ন আদেশ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি অবৈধ ইটভাটা থাকার কথা বলা হয়। উচ্ছেদের পর এখনও (২০২৩ সালে) ২০০টির বেশি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। তাই দুই সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের আবারও দূষণরোধে আদেশ কার্যকর করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ বলেন, আজ সিটি করপোরেশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা ‘যথেষ্ট নয়’ বলেছেন আদালত। কয়েকটা গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়নি। তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার আশপাশের পাঁচ জেলায় অবৈধ ইটাভাটা বন্ধ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
২০২০ সালে বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।