নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কায় দুই বছর স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করতে না পারা ঈদুল ফিতর এবার এসেছে ভিন্ন আবহ আর ধকল কাটিয়ে ওঠা স্বাভাবিকতা নিয়ে। এবার রমজান মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ হয়েছে। ফলে সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের মাস শাওয়ালের। আর ঘরে ঘরে লেগেছে খুশি— এলো খুশির ঈদ।
‘ঈদের দিনের আগের রাত দেশের মানুষের কাছে চাঁদরাত নামে পরিচিত। অর্থাৎ সোমবার দিবাগত রাত পার হলেই ঈদের সকাল। এরইমধ্যে বাড়িতে বাড়িতে নানা চলছে রকম রান্নার আয়োজন। যাদের কেনাকাটার বাকি তারাও সেরে নিচ্ছেন শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুটি বছর ঈদের জামাত হয়েছিল সীমিত পরিসরে। এবার মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঈদগাহে বা উম্মুক্ত ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
‘রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাতটি হবে সকাল ৮টায় ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এরইমধ্যে জাতীয় ঈদগাহে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানো মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদ জামাত আদায় করবেন। জাতীয় ঈদগাহে একত্রে ৩৫ হাজার মুসল্লি জামাত আদায় করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন—ডিএসসিসি।
‘এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ-এ প্রত্যাশা করি।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে ঈদুল ফিতরের মহীমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে আত্ননিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘বার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদুল ফিতর মানে আনন্দ। আসুন ঈদুল ফিতরের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেই। যে যার অবস্থান থেকে ঈদুল ফিতরের মহীমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্ননিয়োগ করি।
বার্তায় দেশের সব মানুষের সুস্থতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদ খাকুন। ঈদ মোবারক।