নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মানিকগঞ্জে নিজ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন- র্যাব জানিয়েছে, তাদের র্যাব-৪ ব্যাটেলিয়ন একটি অভিযানে যাচ্ছিল। মূলত গাড়িটিকে থামানোর উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে গাড়িতে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে এবং তাদের দুইজন সদস্য আহত হন। পেছনে থাকা র্যাবের আরেকটি দল সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাবের ওপর বারবার এমন হামলা হয়েছে উল্লেখ করে বাহিনীটি বলছে, এমন হামলা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেও কুমিল্লায় র্যাবের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাকে আইসিইউতে নিয়ে গুলি বের করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
এদিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইলে র্যাবের গাড়িতে হামলার পর পাল্টা প্রতিরোধে একজন আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। স্থানীয়রা জানায়, নিহতের নাম কাওসার। সে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যাসহ ১২টিরও বেশি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
“মধ্যরাতে মানিকগঞ্জে র্যাবের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাভার থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে র্যাবের একটি মাইক্রোবাস যাচ্ছিল। পথে র্যাবের গাড়ির ওপর অতর্কিত গুলি চালানো হয়। র্যাব-৪ একটি অভিযানে যাচ্ছিল। মূলত গাড়িটিকে থামানোর উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। এতে গাড়িটিতে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে।এরপরই পেছনে থাকা আমাদের টহল টিমের সঙ্গে হামলাকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়।”
ঘটনার পরপরই র্যাবের ফরেনসিক টিম কাজ শুরু করে জানিয়ে মঈন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের আরেকটি দল অস্ত্রের খোঁজে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেখানে একজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার নাম মো. কাওসার বলে জানা যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে হাসপাতালে মারা যায়।
“র্যাবের ওপর বারবার এমন হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, র্যাবের ওপর হামলা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেও কুমিল্লায় র্যাবের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাকে আইসিইউতে নিয়ে গুলি বের করতে হয়েছে। তাছাড়া মাদকবিরোধীসহ বিভিন্ন অভিযানে র্যাবের ওপর হামলা হয়েছে। এই সব হামলায় র্যাবের ২৯ জন সদস্য শহীদ হয়েছেন, প্রায় এক হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন। বিভিন্ন অভিযানে সন্ত্রাসীদের হামলা থাকবেই, এটা মেনে নিয়ে আমরা কাজ করছি।”