২৬ মার্চ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন ডিজিটাল পরিচয়পত্র: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ২৬ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শনিবার মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকা জেলা পশ্চিম অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মানিকগঞ্জ শহিদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে প্রায় আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এতে অংশ নেয়।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সারাদেশে সব মুক্তিযোদ্ধার কবরের ডিজাইন একই রকম হবে। শত বছর পরও যাতে কবর দেখে মানুষ জানতে পারেন এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। এছাড়া ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার অসহায় মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি রক্ষা করা হবে। বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হবে।  

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধ করেছিলাম। এখন শেখ হাসিনার ডাকে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

মিলনমেলায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর বিক্রম), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগম, সাবেক এমপি সুবেদ আলী টিপু, ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আলী, মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, পুলিশের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বিকেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ দেশের জনপ্রিয় শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

মিলনমেলা উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় ‘জয় বাংলা’ নামে একটি স্মারক পত্রিকা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ দেশের জনপ্রিয় শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।