ডেস্ক প্রতিবেদক:
আজ পবিত্র সব-ই-মিরাজ। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হলো মিরাজ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, পবিত্র সেই সত্তা যিনি নিজ বান্দাকে রাতের একটি অংশে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসাই নিয়ে যান, যার চার পাশে আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার কিছু নির্দেশ দেখানোর জন্যে। নিশ্চয় তিনি সব কিছু জানেন এবং শুনেন। সূরা- বানী ইসরাইল আয়াত-১
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, পবিত্র শবেমেরাজ ১৪৪৩ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে আজ বেলা দেড়টায় (বাদ জোহর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবেমেরাজ-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনাসভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এতে অংশ নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুরোধ জানিয়েছে।
হাদিসে মিরাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, হিজরতের পূর্বের কথা রাসূল (সা.) এক রাতে শুয়ে ছিলেন। তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। কিন্তু অন্তর ছিল জাগ্রত। হঠাৎ আগমণ করেন জিবরাইল আ. । নবী (সা.) এর জন্য আনা হলো বোরাক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূহুর্তেই পৌঁছে গেলেন বাইতুল মুকাদ্দাস।
নবীজী সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন বাইতুল মুকাদ্দাসে। নামাজ শেষে জিবরাইল আ. তার সামনে দুটি পেয়ালা পেশ করলেন। একটি দুধের অপরটি শরাবের। নবীজী দুধের পিয়ালা গ্রহণ করলে জিবরাইল আ. বললেন, আপনি দ্বীনের সহজ বিষয়টি নির্বাচন করেছেন। জিবরাইল আ. নবীজীকে বললেন আপনি যদি মদের পেয়ালা নিতেন, তাহলে আপনার উম্মদ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ত। (বুখারী, হাদীস ৩৩৯৪)
আল্লাহর সঙ্গে নবীজীর সাক্ষাতের পর দিন রাতে উম্মতের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন। নামাজের এই আদেশ নিয়ে যখন নবীজি আসছিলেন: মুসা আ. সঙ্গে দেখা হলে তিনি বললেন আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবে না। আল্লাহ কাছ থেকে কমিয়ে নিয়ে আসুন। নবীজী আল্লাহ কাছে দরখাস্ত মাধ্যমে পঞ্চাশ ওয়াক্তের পরিবর্তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন। (বুখারী, হাদীস-৩৮৮৪)
মিরাজে নবীজীকে হাউযে কাওয়ার দেখানো হয়। তিনি সেই কাউসারের বিবরণও দিয়েছে। (বুখারী, হাদীস ৭৫১৭) এমনিভাবে নবীজীকে উর্ধ্বজগতে অনেক কিছু দেখানো হয়েছে মিরাজে।