ডেস্ক প্রতিবেদক:
১৯৭১ সালের ২৪ আগস্ট দিনটি ছিল মঙ্গলবার। এদিন ৮ নম্বর সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি কোম্পানী নাটোদা থেকে মুজিবনগরের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নায়েব সুবেদার আবদুল মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে বাগুয়ানে এবং আর একটি দল মানিক নগরে শত্রুসেনাদের অ্যামবুশ করে।
প্রায় আড়াইঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হয়।
মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার সি এন্ড বি রোডের কালামুড়া ব্রিজে অবস্থানরত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন রাজাকারের সবাই আত্মসমর্পন করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা কালামুড়া ব্রিজটি ধ্বংস করে।
সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কালামুড়া ব্রিজের ২ মাইল দক্ষিণে মাধবপুর ও মীরপুরের মাঝখানে পাকসৈন্য ভর্তি ২টি স্টেট বাস, ৩টি জীপ ও ২টি ডজ গাড়ী অ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনীর সবকটি গাড়ী ধ্বংস হয় এবং বহু পাকসৈন্য নিহত হয়। একজন রাজাকার ও তিনজন পাকসৈন্য অস্ত্রশস্ত্রসহ ধরা পড়ে।
মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরায় রাজাকারদের আশাশুনি ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে রাজাকারদের ক্যাম্পটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং বেশ ক’জন রাজাকার নিহত হয়। পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি ও শান্তি কমিটির আহবায়ক খাজা খয়েরউদ্দিন প্রাদেশিক সহ-সভাপতি এ কিউ এম শফিকুল ইসলামসহ এদিন পশ্চিম পাকিস্তান গমন করেন।