নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন বা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করেছে সরকার। এ পদক দিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে ৯ আগস্ট, সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সাত ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেয়া হবে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনের ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতাবিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিষয়ক গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ- এই ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হবে। এছাড়া সরকার নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেয়া হবে।
প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়, পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।
পদকপ্রাপ্তির যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকও এ পদক দেয়া যাবে। পদকের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- সরকারের স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান বা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ-পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।
সরকারি দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদকপ্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ বছরে একই বিষয়ে ফের পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হবে না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধ পদক দিতে মনোনয়ন আহ্বান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।