নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। মনের সার্বজনীন ব্যায়াম হচ্ছে মেডিটেশন। যে কোনো বয়সের মানুষ প্রতিদিনই এটি চর্চা করতে পারেন। মেডিটেশনের নিয়মিত অনুশীলন জাগিয়ে তুলে মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বাকে।
দেহের ব্যায়াম যে জরুরি সেটা নিয়ে এখন আর কারো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু মনের ব্যায়ামও যে খুব জরুরি, সেটা কয়জন স্বীকার করি? অথচ মনকে নিয়মিত কিছু ভালো চর্চার ভেতর না রাখলে মন যে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার ফলে শরীরও যে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেটা এখন নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত।
নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় মনের রাগ-ক্ষোভ, দুঃখ-হতাশা, টেনশন, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর হয়। নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় বদলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। ফলে মনোদৈহিক নানা রোগ যেমন: আইবিএস, অনিদ্রা, মাইগ্রেন, করোনারি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রকম ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি থেকে নিরাময় লাভ করা যায় খুব সহজেই।
মন প্রশান্ত থাকলে, মনে মমতা জাগলে পারিবারিক পেশাগত সামাজিক সম্পর্কগুলোও সুন্দর হয়ে ওঠে। স্ট্রেসমুক্ত থাকা যায় বলে বাড়ে পেশাগত দক্ষতা। শুধু নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করেই একজন মানুষ পেতে পারেন প্রশান্তি সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য। তাই মেডিটেশনকে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি।
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। আসুন, সবাই মিলে উদযাপন করি। একসাথে মেডিটেশন করি। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় লাখো মানুষের সাথে শামিল হই মেডিটেশনে। নিজে প্রশান্ত হই। সেই প্রশান্তি ছড়িয়ে দেই পরিবারে, সমাজে, দেশে। প্রশান্তি সুস্বাস্থ্য সজীবতায় জাগিয়ে তুলি মনুষ্যত্ব। ছড়িয়ে দেই মানবিকতা।
বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালনের ইতিহাস পৃথিবীতে খুব দীর্ঘ নয়। মূলত বৃটেনসহ কিছু দেশে ছোট কয়েকটি সংগঠন এটি আয়োজন করে আসছে।
বৃটিশ নাগরিক উইল উইলিয়ামস-এর প্রধান উদ্যোক্তা। উইল উইলিয়ামস এক সময় নিদ্রাহীনতার রোগে ভুগতেন। এর সমাধানে অনেক কিছু করে তিনি মেডিটেশন শিক্ষার মাধ্যমে নিরাময় লাভ করেন। তিনি এক দশক ধরে মেডিটেশন চর্চা করছেন।
বাংলাদেশে দিবসটি এবারই প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। বাংলাদেশে মেডিটেশন বেশ অপরিচিত ছিল। গত প্রায় তিন দশক ধরে মেডিটেশনকে জনপ্রিয় করা শুধু নয়, একে সংস্কৃতির অংশে পরিণত করেছে কোয়ান্টাম।
ছোট পরিসরে এবং ক্ষুদ্র সংগঠনিক প্রেক্ষাপটে দিনটি কিছু জায়গায় পালিত হলেও এখন পর্যন্ত সার্বজনীনভাবে দেশজুড়ে মেডিটেশন দিবস পালনের ঘটনা পৃথিবীতে এই প্রথম বাংলাদেশে হচ্ছে। সে হিসেবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে।