নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাগারে বন্দী থাকা সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করেছে সিআইডি। মামলায় পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে-শ্যালিকা ও ব্যক্তিগত সহকারীসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা এই মামলায় ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় পাপুলের স্ত্রী সাংসদ সেলিনা ইসলাম ও তাদের মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ উচ্চ আদালতের আদেশ সংশোধন চেয়ে পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
পাপুল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য। স্ত্রী সেলিনা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ। এই দম্পতিসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীন গত ১১ নভেম্বর মামলাটি করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে গত জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন এমপি পাপুল৷ বর্তমানে তিনি কুয়েতের কারাগারেই আছেন। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।