ছাত্র আন্দোলনে এ কোন অসভ্যতা ??

img

সম্পাদকীয়ঃ

ছাত্র আন্দোলনে যারা যোগ দিয়েছে তারা আসলে কি চায় ? কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড কথাটি প্রায় সবার জানা তবে আন্দোলনের নামে এ কোন অসভ্যতা !

তাহলে বলতে হয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষাকে অপমানিতও করেছে - 

কারণ কিছু কিছু যায়গায় তাদের হাতে সরকার, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু ও পুলিশ বিরুধী অনেক অশ্লীল লেখা ফেস্টুন দেখা গেছে যা ছাত্র সমাজকে মানায় না। এর মধ্যে আমরা যদি দোষী হই বঙ্গবন্ধু ও দোষী , তাল গাছে কাউয়া পুলিশ আমার সাউয়া,

ব্রিজের উপড় কাউয়া পুলিশ কার শাউয়া?, পুলিশ আমার শাউয়ার বালও না, রাজা আছে নীতি নাই নেতা চোদার টাইম নাই, পুলিশ কোন চ্যাটের বাল ইত্যাদি।

এছাড়াও অনেক যায়গায় দেখা গেছে ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে নানা শ্লোগানে ফেস্টুন, যে ফেস্টুনগুলো এই বাচ্চাদের দ্বারা লেখা সম্ভব না, তাহলে এগুলো কে বা কারা লিখে তাদেরকে দাড় করিয়েছে ।

এ আন্দোলনে সুফলের চেয়ে শিক্ষা সমাজে বিব্রতকর পরিবেশ তৈরী হয়েছে অনেকে মনে করেন।কারণ ছোট ছোট বাচ্চারা দেখে দেখে শিখে।

এ আন্দোলনে ছোট বড় অনেক অপরাধও সংঘঠিত হয়েছে।তারজন্য তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত । দেশে কিশোর অপরাধ দমন ও সংশোধনের বিধান রয়েছে।  

উল্লেখ যে, গত রোববার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের ফ্লাইওভারের মুখে জাবালে নূর পরিবহনের  বাসের র্দূঘটায় প্রাণ হারান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীব। ওই দিন

সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ছিল।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কোন এক প্রসঙ্গে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ অনেকে হাসতে ছিলেন। তৎক্ষণাত  সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে দুর্ঘটনা নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন

করেন।ঐঅবস্থায় মন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দেন।আসলে নিহতের বিষয়ে প্রশ্ন করার পর মন্ত্রী হাসি শুরু করেনি।  আর পর থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। ঈদের আগে এই আন্দোলন সামাজিক জীবনে অনেক দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। 

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের মহাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসায় যান গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে তিনি প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান

তিনি। এ ঘটনায় অপরাধ না করেও মিডিয়াসহ বিভিন্ন যায়গায় ক্ষমাও চান।

মীমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির  অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স বাতিল, সবার লাইসেন্স চেক করা এবং রাস্তায় চলাচল করা ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও দিয়েছেন শাজাহান খান। 

মন্ত্রী নিজেও একাধিকবার হাসির ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিন্তু তারপরেও মনে হচ্ছে  এটি র্দূঘটনার আন্দোলন নয়, এর নেপথ্যে অন্য কিছু ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মীমের বাসায় যান এবং সচিবালয়ে জরুরী বৈঠক করে সব দাবি মেনে নেন।

সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের দুই পরিবারকে গণভবনে ডেকে নিয়ে সানত্বনা দেন এবং তাদের হাতে ৪০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন।

দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদেরকে রাস্তা ছেড়ে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়, রাস্তা ও পরিবহনের সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার গতিশীল অবস্থায় কাজ করছে, তারপর এত বাড়াবাড়ি কেন?

ছাত্র আন্দোলন কি শুধু ছাত্ররা নাকি সাথে কুচক্রি মহলের লোক আছে ?  কুচক্রি মহল কোমলমতি শির্ক্ষাথীদের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার দরকার। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে ।